কঠিন অঙ্কসুব্রত সামন্ত (বুবাই)
আবার বহুদিন বাদে আমার হাতে তোমার
সেই ‘কাঙালকরা চিঠি’।
অতঃপর আবার আমার বুকের
আনাচ-কানাচজুড়ে জেগে ওঠা
‘তোমার চলে যাওয়া’... আর ‘ফিরে না আসা’ ।
এরই মাঝে তুমি আবার জানতে চেয়েছো :
‘কোথায় আছি’ ? ‘কেমন আছি’ ?
নিজেকে আরেকবার নিংড়ে স্তব্ধ করে
দিয়ে
আমিই বরং নাহয় তোমার কাছে জানতে চাই
:
‘তুমিই বলো—
জন্ম থেকেই নষ্ট ভালোবাসা নিয়ে কেমন
থাকতে পারি’ ?
বিশ্বাস কর বা ছাই না কর !
শুধু বিশেষ কারো উপস্থিতি এ বুকে
প্রবল জোরালো হলে
এখনো শুরু হয় অথৈ উল্টোপূরাণ।
আবার পরপর গিঁড়ো খুলে ধরা পড়ে...
পুরানো আঘাতের সদ্যোজাত ব্যথা।
ভয়ও হয় ; না-জানি জীবন কখন রেগেমেগে
কিনা করে বসে।
তখন লাগাতার ক্ষয়ক্ষতির ছয়লাপে
ছয়লাপে
আমার এযাবৎ সঞ্চয়ের পাশে মস্ত একটা
শূণ্য এসে
গুণ হয়ে জুড়ে বসে।
অমনি টুকরোটুকরো কিছু ভুলেভরা ভুল,
অনুসারী হয়ে এ বুকে খুব বাজে।
সেই থেকে আমি আজো বসে থাকি কোথায় সেই
হুবুহু বিকেল ?
প্রেমের তাকজুড়ে আমার যত প্রথম
প্রেমের ঝুড়িভরা হামাগুড়ি
এইবুঝি ঠায় হাঁটে... আর
আমার চোখের দৃষ্টির ছিটে তোমার
সারনেম পাল্টে ফ্যালে।
যাই হোক—
আপাতত এক চাপাকান্না এসে
এইসব ইতস্তত শব্দপরাগকে চেটেপুটে
খেয়ে গেছে।
আর শেষপর্যন্ত লোকদেখানো-মনগড়া
দিনগুলো আমাকে এখনো
একপ্রকারের লাগাতার থাপ্পড় মেরে,
বাস্তবেই ধরে রেখেছে।
তবে শুধু মাঝে মাঝে
সেই সেদিনের তরতাজা ঘায়ে
কেউ শুশ্রূষা দিয়ে ভালো করে গেলেও
ভেতরে ভেতরে এখনো তেমনই প্রবল তরতাজা
আছে।
যেভাবে আগ্নেয়গিরি নিভে গেলেও
বিলুপ্ত হয় নি, ভূগোলে।